আজাহার আলী সরকার: [২] ভারতের মুম্বাইয়ে সফর শেষে ভিস্তেরা এয়ারলাইন্সের (ফ্লাইট নং-টক-১৮৩) একটি বিমানে বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২ টায় ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন সস্ত্রীক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। 

[৩] বন্ধুদের আমন্ত্রণে বড়দিনের ছুটি কাটাতে সস্ত্রীক তিনি শুক্রবার মুম্বাইয়ে গিয়েছিলেন। ছুটি শেষে বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফিরে কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।

[১]বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্ধারিত কবরস্থান আজীবন সংরক্ষণ করতে পারবেন: মেয়র আতিকুল

সুজিৎ নন্দী: [২] তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এই কবরস্থানগুলো আমরা সারা জীবনের জন্য সংরক্ষণ করবো। আগে বীর মু?ক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্ধারিত কবরস্থান ১০ বছর সংরক্ষ?ণ করা হতো। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জন্য দেশ দিয়েছেন, আমরা তাদের জন্য আমাদের আওতায় থাকা সামান্য সেবাটুকু দেব। উত্তর সিটির সভায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঢাকা উত্তরের সড়কগুলোর নাম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে করা হবে। 

[৩] উত্তর মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রতি দুই মাসে একদিন শেষ সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ডিএনসিসির অডিটোরিয়ামে বসবো। আপনাদের কথা শুনবো, সমস্যা সমাধান করবো। তাছাড়া যেকোনো সময় আমার দরোজা সবসময় আপনাদের জন্য খোলা থাকবে।

[৪] মেয়র বলেন, উত্তর সিটির কোনো সেবা নিতে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের যেন দ্বারে দ্বারে ঘুরতে না হয় কর্মকর্তাদের এই নির্দেশনা দিয়েছি। মুক্তিযোদ্ধারা যদি কোনো সেবার জন্য উত্তর সিটিতে আসেন তাহলে তাদের কোনো হ্যারেজমেন্ট করা যাবে না।কাজ করে দিতে হবে।বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধাদের যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তাদের বাসায় গিয়ে সেবা দিয়ে আসতে হবে। তাদের কোন কাজে সময়ক্ষেপণ করা যাবে না।

 [৫] বৃহস্পতিবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে উত্তর সি?টি আয়ো?জিত মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরের মোট ১ হাজার ৩শ’ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় মেয়র মিরপুরে একটি মুক্তিযোদ্ধা গেট তৈরি করা হবে বলেও ঘোষণা দেন। 

[৬] উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, আপনারা যেভাবে নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন আগের কোনো সরকার কিন্তু আপনাদের সেভাবে সন্মান দেয়নি। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার আপনাদের উপযুক্ত সম¥ান দিয়েছেন। শেখ হাসিনার হাতে যতদিন থাকবে দেশ, ততেদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ। একসময় এই দেশে রাজাকার আলবদর যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে জাতীয় পাতাকা উড়তো। সেটি ছিল জাতি হিসেবে আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। সম্পাদনা:সমর চক্রবর্তী